30 review for
Nil darpan, or, The Indigo Planting Mirror: A Drama
4 out of 5
Muhammad –
ব্রিটিশ শাসনামলে উপমহাদেশে নীলকরদের অত্যাচারের গল্প নীলদর্পণ। এ দর্পণে প্রতিফলিত হয়েছে নীলচাষিদের ওপর নেমে আসা প্রচণ্ড অত্যাচারের ছবি। সাদা চামড়ার নীলকর সাহেবরা কি ভীষণ কালো মনের হতেন সময়ে সময়ে, সে কথা ইতিহাসের বইতে হয়ত অনেকই লেখা আছে কিন্তু সাহিত্যের পাতায় এই ভীষণ কষ্টের সময়টিকে ধরার বড় দরকার ছিলো। দীনবন্ধু মিত্র সে কাজটিই করলেন 'নীলদর্পণ' নাটকে। এই নাটকের নাট্যায়ন এবং এর ইংরাজী অনুবাদ The Indigo Planting Mirror দেশে বিদেশে ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে যার ফলশ্রুত ব্রিটিশ শাসনামলে উপমহাদেশে নীলকরদের অত্যাচারের গল্প নীলদর্পণ। এ দর্পণে প্রতিফলিত হয়েছে নীলচাষিদের ওপর নেমে আসা প্রচণ্ড অত্যাচারের ছবি। সাদা চামড়ার নীলকর সাহেবরা কি ভীষণ কালো মনের হতেন সময়ে সময়ে, সে কথা ইতিহাসের বইতে হয়ত অনেকই লেখা আছে কিন্তু সাহিত্যের পাতায় এই ভীষণ কষ্টের সময়টিকে ধরার বড় দরকার ছিলো। দীনবন্ধু মিত্র সে কাজটিই করলেন 'নীলদর্পণ' নাটকে। এই নাটকের নাট্যায়ন এবং এর ইংরাজী অনুবাদ The Indigo Planting Mirror দেশে বিদেশে ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে যার ফলশ্রুতিতে ইন্ডিগো কমিশন গঠন করা হয় নীলচাষিদের অধিকার আদায়ের জন্য। আইন প্রণয়ন করে নীলকরদের ক্ষমতাও অনেকাংশে সংকুচিত করা হয়। এর আগে নীলকর সাহেবেরা তাদের কুঠি বাড়ী বসিয়ে নীলের চাষ করত। চাষিদের জোর করে চাষের জন্য দাদন (অগ্রিম টাকা) দেয়া হত এই কুঠি বাড়ি থেকে। কেউ দাদন নিতে না চাইলে তার ওপর নেমে আসত অমানুষিক নির্যাতন। মারধোর করে মন তো আর ফেরানো যায়না সবসময়। তাই বিদ্রোহী চাষিদের শায়েস্তা করতে নীলকরেরা সবচেয়ে সহজ এবং নোংরা কৌশলটাই অবলম্বন করত। চাষিদের স্ত্রী, কন্যা এদের ধরে আনা হত সাহেবের কুঠিতে। এই কুঠিগুলো এমন অনেক স্ত্রী-কন্যা-মাতার ধর্ষণের সাক্ষী। এই কুঠিগুলো অনেক চাষির বুকে বুটের প্রাণঘাতী লাথিরও সাক্ষী। সত্যজিৎ রায়ের কিছু গল্পেও এমন 'হন্টেড' কুঠির কথা এসেছে। মাসের পর মাস চলে যেত, গরীব চাষিরা তাদের নীল চাষের মজুরি কখনও পেতনা। এ নিয়ে গোল পাকাবারও বেশী একটা অবকাশ ছিলোনা। তাহলেই তো স্ত্রীর বা কন্যার ডাক পড়বে কুঠিবাড়ীতে। চাষির বউ তুলে আনা, গ্রামকে গ্রাম আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া, সন্তানসম্ভবা মা'র পেটে ঘুঁষি মেরে গর্ভপাত করিয়ে দেয়া, জমি কেড়ে নেয়া; কি করতে না বাকি রেখেছে "ব্রিটিশ লায়নেরা"! ভাবতে গেলে আজ ২০০ বছর পরেও শিহরিত হতে হয়। সমকালীন সময়ে উপস্থিত থেকে উপরোক্ত ঘটনা গুলোর চাক্ষুষ সাক্ষী হয়ে থাকাটা কী ভয়ানক দুঃস্বপ্নময়! দু'শ বছর পরে যে অত্যাচার এর গল্প পড়ে আমার চোখে পানি আসে, সেই ঘটনার সাক্ষী থেকে দীনবন্ধু মিত্রের কেমন লেগেছিলো?
'নীলদর্পণ' পড়বার সময় অন্ধ এক ক্রোধ ভর করে মাথায়। মন চলে যেতে চায় ২০০ বছর পেছনে। সাহেবের মুখে ঘন ঘন শোনা 'বাঞ্চত' কথাটিকে বুট জুতো বানিয়ে বহুগুণে তাকে ফেরত দিতে বড় ইচ্ছে করে। বেঁচে থাকুক 'নীলদর্পণ', আমাদের বাঙ্গালীদের মনে, ক্রোধ আর কান্নার দীর্ঘশ্বাস হয়ে। বেঁচে থাকুক The Indigo Planting Mirror ব্রিটিশদেরও মনে, ব্রিটিশ পতাকা 'ইউনিয়ন জ্যাক' এর নীল রঙের মাঝে।
4 out of 5
Aishu Rehman–
রং হিসেবে নীলের ব্যবহার পৃথিবীর সব জায়গায় ছিল।সবচেয়ে ভালো নীল চাষ একমাত্র ভারত উপমহাদেশে হতো। তাই ১৭৭৭ সাল থেকে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে নীলচাষ শুরু হয়। প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্যবসা শুরু করলেও পরে তা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। প্রথমদিকে কৃষকদের তেমন কোন ক্ষতি হতো না। কিন্তু একসময় ইউরোপ বাজারে নীলের দাম কমে যাওয়া কৃষকরা মুজরীর ফাকিতে পরে। এবং কৃষকদের নীলের দাদানে পরে বাধ্য করা হয়। তাতে কৃষকদের জীবন মরন সমস্যা ক্রমশ নীলকরদের অত্যাচার বাড়তে থাকে। একসময় জুলুম শুরু হয়।এতে চাষীরা সংঘবদ্ধ হয় রং হিসেবে নীলের ব্যবহার পৃথিবীর সব জায়গায় ছিল।সবচেয়ে ভালো নীল চাষ একমাত্র ভারত উপমহাদেশে হতো। তাই ১৭৭৭ সাল থেকে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে নীলচাষ শুরু হয়। প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্যবসা শুরু করলেও পরে তা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। প্রথমদিকে কৃষকদের তেমন কোন ক্ষতি হতো না। কিন্তু একসময় ইউরোপ বাজারে নীলের দাম কমে যাওয়া কৃষকরা মুজরীর ফাকিতে পরে। এবং কৃষকদের নীলের দাদানে পরে বাধ্য করা হয়। তাতে কৃষকদের জীবন মরন সমস্যা ক্রমশ নীলকরদের অত্যাচার বাড়তে থাকে। একসময় জুলুম শুরু হয়।এতে চাষীরা সংঘবদ্ধ হয় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনে কৃষকদের সাথে বুদ্ধিজিবীদের সমর্থন থাকে।প্রথম আন্দোলন হয় খুলনা জেলায় কাদের মোল্লার নেতৃত্বে। এই সংঘর্ষ দীনবন্ধুকে এই নাটক লিখতে অনুপ্রানিত করে। মূলত বাংলার উপর নীলকরদের যে অত্যাচার তারই পটভূমিতে দীনবন্ধু নীল দর্পণ নাটক রচনা করেন। এই নাটকের কাহিনীও বাঙালিদের উপর নীলকর দের অত্যাচার এর চিত্র। নাটকে কেন্দ্রীয় না হলেও প্রধান চরিত্র হলো গোলকবসু। তিনি অত্যন্ত নিরীহ এবং ধর্মপরায়ন সৎ কায়স্ত সন্তান।। তার ছেলে নবীনমাধব বিষয়কর্ম দেখাশোনা করে। স্বরপুর গ্রামে নীলকরের ব্যাপক জুলুম শুরু হয়। গোলকবসু পঞ্চাশ বিঘা জমিতে নীলচাষ করে দু পয়সাও পায় না। অতচ এবার নির্দেশ হয় ষাট বিগাতে নীল করতে হবে। প্রতিবেশী সাধুচরনের কন্যা ক্ষেত্রমনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পিতার কাছে আসে। সাধুচরন ও তার ভাই রাইচরন কে নীলের জন্য ধরতে এসে তারা ক্ষেত্রমনিকে দেখে যায়। তাই নীলকর পি পি রোগ পদীময়রানীকে দিয়ে খবর পাঠায় তার কাছে যেতে। কিন্তু ক্ষেত্রমনি না যাওয়ায় লাঠিয়াল এসে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। নবীনমাধব এ কথা শুনে সে পিপি রোগের কাছ থেকে ক্ষেত্রমনিকে রক্ষা করতে ছুটে যায়। তাকে নিয়ে আসলেও ক্ষেত্রমনি মারা যায়। নবীনমাধব এর উপর আক্রোশ করে। নীলকররা তার বাবা গোলকবসুর নামে মামলা করে দেয়। এভাবে তাদের অত্যাচারের চিত্র গুলো এগিয়ে যায়। চরিত্রের দিকে গোলকবসু তার দুই পুত্র - নবীনমাধব, বিন্দুমাধব। সাধুচরণ, রাইচরণ দুই ভাই। গোপীনাথ দাস -দেওয়ান । আই আই উড, পি পি রোগ নীলকর। এছাড়া আমিন খালাসী, তাইদগীর, ম্যাজিস্ট্রেট, আমলা, মোক্তার অন্যান্য পুরুষ চরিত্র। সাবিত্রী-গোলকবসুর স্ত্রী, সৈরিন্ধ্রী-নবীনের স্ত্রী, সরলতা-বিন্দুমাধবের স্ত্রী, রেবতী-সাধুচরনের স্ত্রী, আদুরী -গোলকবসুর দাসী,ক্ষেত্রমনী-সাধুচরনের মেয়ে। নীল চাষ কে কেন্দ্র করে গোলক বসুর পরিবারের উপর দিয়ে যাওয়া অশুভ ছায়া এই নাটকের কাহিনী। নীলকর দের অত্যাচারের চিত্র গুলো নাট্যকার এদের উপর অঙ্কিত করেছেন।
4 out of 5
Nafia Zalal–
বইটা হাত থেকে রেখে বুঝতে পরলাম যে বইএর অর্ধেকই বুঝিনি।এখন আাপাতত আধবোঝা পড়েই রেটিং দিলাম। যেদিন মনে হবে এখন পড়লে বুঝতে পারব সেদিন পড়ে আবার রিভিউ লিখব। আপাতত ৩ স্টারই থাকুক।
4 out of 5
Chiro Pipashito T H–
Although the reading was a little tedious, but it is a depiction of the plight of the indigo farmers in Bengal during the British colonial rule. I would certainly recommend this book to those who love classics and history.
5 out of 5
Shaimon–
দীনবন্ধু মিত্রের ঐতিহাসিক নাটক "নীল দর্পণ", নাটকটির সাহিত্যিক মান যাই হোক না কেন এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অসাধারণ,যে সময়ে নাটকটি রচিত হয়েছে মূলত সেই সময়ই একে এবং এর নাট্যকারকে বিখ্যাত করেছে,সব মিলিয়ে ভালোই।প্রত্যেকের পড়ে দেখা উচিৎ এই ঐতিহাসিক নাটকটি দীনবন্ধু মিত্রের ঐতিহাসিক নাটক "নীল দর্পণ", নাটকটির সাহিত্যিক মান যাই হোক না কেন এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অসাধারণ,যে সময়ে নাটকটি রচিত হয়েছে মূলত সেই সময়ই একে এবং এর নাট্যকারকে বিখ্যাত করেছে,সব মিলিয়ে ভালোই।প্রত্যেকের পড়ে দেখা উচিৎ এই ঐতিহাসিক নাটকটি
4 out of 5
Raunak Ramakrishnan–
It is an old translation of the original Bengali play offering a very interesting perspective from POV of planters of how the ruthless British exploitation for producing indigo deeply affected families, villages and culture itself.
4 out of 5
Medul Al-Ayhem–
Masterpiece....
nothing to say....
4 out of 5
Fahad Jewel–
প্রাসঙ্গিক কিছু কথাঃ
বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হওয়ার শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে।সময়কাল ১৮৬০ ইং।বের হয় 'নীল দর্পণ' নাটক।প্রথমে নাম ছিল "নীল দর্পনং নাটকং'।দীনবন্ধু মিত্রের পরিবর্তে ছদ্মনামে বেরিয়েছিল বইটি।
স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক বাংলার সমাজ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে লেখা এ বইটি পরবর্তীতে ১৮৬১ ইং সনে "Nill Durpan,Or the indigo planting miror" নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়,প্রকাশক ছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ।
জেনে রাখা ভালো,
১। এটিই প্রথম বাংলা নাটক,যা ইংরেজীতে অনূদিত হয়।
২। কোন বিদেশী প্রকাশক দ্ব প্রাসঙ্গিক কিছু কথাঃ
বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হওয়ার শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে।সময়কাল ১৮৬০ ইং।বের হয় 'নীল দর্পণ' নাটক।প্রথমে নাম ছিল "নীল দর্পনং নাটকং'।দীনবন্ধু মিত্রের পরিবর্তে ছদ্মনামে বেরিয়েছিল বইটি।
স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক বাংলার সমাজ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে লেখা এ বইটি পরবর্তীতে ১৮৬১ ইং সনে "Nill Durpan,Or the indigo planting miror" নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়,প্রকাশক ছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ।
জেনে রাখা ভালো,
১। এটিই প্রথম বাংলা নাটক,যা ইংরেজীতে অনূদিত হয়।
২। কোন বিদেশী প্রকাশক দ্বারা প্রকাশিত কোন বাংলা বইয়ের নামও "নীল দর্পন"।
৩। বিদেশী পত্রিকায় প্রথম কোন বাংলা বইয়ের উপর সমালোচনামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার দাবিদারও এই বইটি।
এই বইটির ইংরেজি অনুবাদ ইংল্যান্ডে প্রকাশিত হওয়ার পর এবং দেশ বিদেশে নীলকরদের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন ও সমালোচনা শুরু হলে সরকার শেষ পর্যন্ত নীল কমিশন স্থাপন করতে বাধ্য হয়।যা নীলকরদের দৌরাত্ম্য থেকে দরিদ্র কৃষকদের বাচাতে সহায়ক হয়।
কাহিনী সংক্ষেপঃ
গ্রামের নাম স্বরপুর।গোলকচন্দ্র বসু এ গ্রামেরই সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত ও গৃহস্থ সম্পন্ন একজন।স্ত্রী সাবিত্রী, দুই পুত্র নবীন মাধব ও বিন্দু মাধব এবং দুই পুত্রবধূ সৈরিন্ধ্রী ও সরলতাকে নিয়ে তার সুখের সংসার।নবীন মাধব উদারচেতা,প্রজাবৎসল ও হৃদয়বান পুরুষ;বাড়িতে থেকেই বিষয়কর্মের দেখাশোনা করেন।তার ছোট ভাই বিন্দুমাধব কলকাতার কলেজে পড়াশোনা করে।
এই পরিবারের বাইরেএ আরেকটি পরিবারের কথাও নাটকে উল্লেখ আছে,সাধুচরনের পরিবার।স্ত্রী রেবতী, কন্যা ক্ষেত্রমনি আর ভাই রাইচরনকে নিয়ে তাদের সংসার।এই সংসারগুলোর সুখ স্থায়ী হয়নি বেশিদিন!কেন?
"বাড়া ভাতে ছাই তব বাড়া ভাতে ছাই
ধরেছে নীলের যমে আর রক্ষা নাই।"
ইংল্যান্ডে নীলের চাহিদা বেড়ে গেলে, বহু নীলকর ইংল্যান্ড থেকে এদেশে আগমন করে।তেমনি এক নীলকরের গ্রাসে পরিণত হয় তাদের ফসলী জমিগুলো।কিন্তু সমস্ত ভালো জমিতে নীল বুনলে তাদের সারা বছরের ভাত জুটবে কি করে?
নবীন মাধব কিছু জমি ফসলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে নীলকর সাহেব গোলকবসুর নামে মামলা করে।কারন বাবাকে গ্রেফতার করলেই নবীন মাধব গোল বাধাতে সাহস করবেনা।বিচারের সম্মুখীন করা হয় গোলক বসুকে।কিন্তু বিচারের নামে হয় প্রহসন!শেষ পর্যন্ত লজ্জা আর লাঞ্চনা মাথায় নিয়ে কারাগারেই মৃত্যুবরন করে গোলক বসু।
ওদিকে বিবাহিত ক্ষেত্রমনির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে নীলকর সাহেবের।জোর করে কুঠিতে তুলে নেয় তাকে।সতীত্ব নাশের চেষ্টাকালে নবীন মাধব কয়েকজন অনুগত প্রজাকে নিয়ে ক্ষেত্রমনিকে উদ্ধার করে।কিন্তু তারপরও সাহবের লাথির আঘাতে সন্তান সম্ভাব্য ক্ষেত্রমনির অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যেতে থাকে।
বাবার শ্রাদ্ধের আগ পর্যন্ত পুকুর পাড়ের জমিতে নীল না বোনার জন্য নীলকরের প্রতি অনুরোধ জানায় নবীন মাধব,৫০ টাকা সেলামিও দিতে চায়।কিন্তু প্রতি উত্তরে নীলকর সাহেব মৃত বাবার উদ্দেশ্যে হীন মন্তব্য করলে ক্ষীপ্ত হয়ে নবীন মাধব সাহেবের বুকে পদাঘাত করে।ভাড়াটে লাঠিয়ালরা নবীন মাধবকে ঘিরে ফেললে নীলকর সাহেব লাঠি দিয়ে নবীনের মাথায় আঘাত করলে মাটিতে পড়ে যায় সে।
এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে ঘটনা,শেষ পর্যন্ত এক ট্রাজিক পরিনতির মাধ্যমে শেষ হয় নাটকের শেষ অঙ্ক।
পড়ার আমন্ত্রন রইল।
পড়া শেষ হলে, আপনার হয়তো সাদা চামড়ার নাক উচু ইংরেজ নীলকরদের বারবার উচ্চারিত "শালা" আর "বাঞ্চত" শব্দটিকে পায়ের জুতো কিংবা মুখের থুতু বানিয়ে ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছে করবে সহস্রবার।
Muhammad –
ব্রিটিশ শাসনামলে উপমহাদেশে নীলকরদের অত্যাচারের গল্প নীলদর্পণ। এ দর্পণে প্রতিফলিত হয়েছে নীলচাষিদের ওপর নেমে আসা প্রচণ্ড অত্যাচারের ছবি। সাদা চামড়ার নীলকর সাহেবরা কি ভীষণ কালো মনের হতেন সময়ে সময়ে, সে কথা ইতিহাসের বইতে হয়ত অনেকই লেখা আছে কিন্তু সাহিত্যের পাতায় এই ভীষণ কষ্টের সময়টিকে ধরার বড় দরকার ছিলো। দীনবন্ধু মিত্র সে কাজটিই করলেন 'নীলদর্পণ' নাটকে। এই নাটকের নাট্যায়ন এবং এর ইংরাজী অনুবাদ The Indigo Planting Mirror দেশে বিদেশে ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে যার ফলশ্রুত ব্রিটিশ শাসনামলে উপমহাদেশে নীলকরদের অত্যাচারের গল্প নীলদর্পণ। এ দর্পণে প্রতিফলিত হয়েছে নীলচাষিদের ওপর নেমে আসা প্রচণ্ড অত্যাচারের ছবি। সাদা চামড়ার নীলকর সাহেবরা কি ভীষণ কালো মনের হতেন সময়ে সময়ে, সে কথা ইতিহাসের বইতে হয়ত অনেকই লেখা আছে কিন্তু সাহিত্যের পাতায় এই ভীষণ কষ্টের সময়টিকে ধরার বড় দরকার ছিলো। দীনবন্ধু মিত্র সে কাজটিই করলেন 'নীলদর্পণ' নাটকে। এই নাটকের নাট্যায়ন এবং এর ইংরাজী অনুবাদ The Indigo Planting Mirror দেশে বিদেশে ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে যার ফলশ্রুতিতে ইন্ডিগো কমিশন গঠন করা হয় নীলচাষিদের অধিকার আদায়ের জন্য। আইন প্রণয়ন করে নীলকরদের ক্ষমতাও অনেকাংশে সংকুচিত করা হয়। এর আগে নীলকর সাহেবেরা তাদের কুঠি বাড়ী বসিয়ে নীলের চাষ করত। চাষিদের জোর করে চাষের জন্য দাদন (অগ্রিম টাকা) দেয়া হত এই কুঠি বাড়ি থেকে। কেউ দাদন নিতে না চাইলে তার ওপর নেমে আসত অমানুষিক নির্যাতন। মারধোর করে মন তো আর ফেরানো যায়না সবসময়। তাই বিদ্রোহী চাষিদের শায়েস্তা করতে নীলকরেরা সবচেয়ে সহজ এবং নোংরা কৌশলটাই অবলম্বন করত। চাষিদের স্ত্রী, কন্যা এদের ধরে আনা হত সাহেবের কুঠিতে। এই কুঠিগুলো এমন অনেক স্ত্রী-কন্যা-মাতার ধর্ষণের সাক্ষী। এই কুঠিগুলো অনেক চাষির বুকে বুটের প্রাণঘাতী লাথিরও সাক্ষী। সত্যজিৎ রায়ের কিছু গল্পেও এমন 'হন্টেড' কুঠির কথা এসেছে। মাসের পর মাস চলে যেত, গরীব চাষিরা তাদের নীল চাষের মজুরি কখনও পেতনা। এ নিয়ে গোল পাকাবারও বেশী একটা অবকাশ ছিলোনা। তাহলেই তো স্ত্রীর বা কন্যার ডাক পড়বে কুঠিবাড়ীতে। চাষির বউ তুলে আনা, গ্রামকে গ্রাম আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া, সন্তানসম্ভবা মা'র পেটে ঘুঁষি মেরে গর্ভপাত করিয়ে দেয়া, জমি কেড়ে নেয়া; কি করতে না বাকি রেখেছে "ব্রিটিশ লায়নেরা"! ভাবতে গেলে আজ ২০০ বছর পরেও শিহরিত হতে হয়। সমকালীন সময়ে উপস্থিত থেকে উপরোক্ত ঘটনা গুলোর চাক্ষুষ সাক্ষী হয়ে থাকাটা কী ভয়ানক দুঃস্বপ্নময়! দু'শ বছর পরে যে অত্যাচার এর গল্প পড়ে আমার চোখে পানি আসে, সেই ঘটনার সাক্ষী থেকে দীনবন্ধু মিত্রের কেমন লেগেছিলো? 'নীলদর্পণ' পড়বার সময় অন্ধ এক ক্রোধ ভর করে মাথায়। মন চলে যেতে চায় ২০০ বছর পেছনে। সাহেবের মুখে ঘন ঘন শোনা 'বাঞ্চত' কথাটিকে বুট জুতো বানিয়ে বহুগুণে তাকে ফেরত দিতে বড় ইচ্ছে করে। বেঁচে থাকুক 'নীলদর্পণ', আমাদের বাঙ্গালীদের মনে, ক্রোধ আর কান্নার দীর্ঘশ্বাস হয়ে। বেঁচে থাকুক The Indigo Planting Mirror ব্রিটিশদেরও মনে, ব্রিটিশ পতাকা 'ইউনিয়ন জ্যাক' এর নীল রঙের মাঝে।
Aishu Rehman –
রং হিসেবে নীলের ব্যবহার পৃথিবীর সব জায়গায় ছিল।সবচেয়ে ভালো নীল চাষ একমাত্র ভারত উপমহাদেশে হতো। তাই ১৭৭৭ সাল থেকে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে নীলচাষ শুরু হয়। প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্যবসা শুরু করলেও পরে তা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। প্রথমদিকে কৃষকদের তেমন কোন ক্ষতি হতো না। কিন্তু একসময় ইউরোপ বাজারে নীলের দাম কমে যাওয়া কৃষকরা মুজরীর ফাকিতে পরে। এবং কৃষকদের নীলের দাদানে পরে বাধ্য করা হয়। তাতে কৃষকদের জীবন মরন সমস্যা ক্রমশ নীলকরদের অত্যাচার বাড়তে থাকে। একসময় জুলুম শুরু হয়।এতে চাষীরা সংঘবদ্ধ হয় রং হিসেবে নীলের ব্যবহার পৃথিবীর সব জায়গায় ছিল।সবচেয়ে ভালো নীল চাষ একমাত্র ভারত উপমহাদেশে হতো। তাই ১৭৭৭ সাল থেকে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে নীলচাষ শুরু হয়। প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্যবসা শুরু করলেও পরে তা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। প্রথমদিকে কৃষকদের তেমন কোন ক্ষতি হতো না। কিন্তু একসময় ইউরোপ বাজারে নীলের দাম কমে যাওয়া কৃষকরা মুজরীর ফাকিতে পরে। এবং কৃষকদের নীলের দাদানে পরে বাধ্য করা হয়। তাতে কৃষকদের জীবন মরন সমস্যা ক্রমশ নীলকরদের অত্যাচার বাড়তে থাকে। একসময় জুলুম শুরু হয়।এতে চাষীরা সংঘবদ্ধ হয় তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনে কৃষকদের সাথে বুদ্ধিজিবীদের সমর্থন থাকে।প্রথম আন্দোলন হয় খুলনা জেলায় কাদের মোল্লার নেতৃত্বে। এই সংঘর্ষ দীনবন্ধুকে এই নাটক লিখতে অনুপ্রানিত করে। মূলত বাংলার উপর নীলকরদের যে অত্যাচার তারই পটভূমিতে দীনবন্ধু নীল দর্পণ নাটক রচনা করেন। এই নাটকের কাহিনীও বাঙালিদের উপর নীলকর দের অত্যাচার এর চিত্র। নাটকে কেন্দ্রীয় না হলেও প্রধান চরিত্র হলো গোলকবসু। তিনি অত্যন্ত নিরীহ এবং ধর্মপরায়ন সৎ কায়স্ত সন্তান।। তার ছেলে নবীনমাধব বিষয়কর্ম দেখাশোনা করে। স্বরপুর গ্রামে নীলকরের ব্যাপক জুলুম শুরু হয়। গোলকবসু পঞ্চাশ বিঘা জমিতে নীলচাষ করে দু পয়সাও পায় না। অতচ এবার নির্দেশ হয় ষাট বিগাতে নীল করতে হবে। প্রতিবেশী সাধুচরনের কন্যা ক্ষেত্রমনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পিতার কাছে আসে। সাধুচরন ও তার ভাই রাইচরন কে নীলের জন্য ধরতে এসে তারা ক্ষেত্রমনিকে দেখে যায়। তাই নীলকর পি পি রোগ পদীময়রানীকে দিয়ে খবর পাঠায় তার কাছে যেতে। কিন্তু ক্ষেত্রমনি না যাওয়ায় লাঠিয়াল এসে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। নবীনমাধব এ কথা শুনে সে পিপি রোগের কাছ থেকে ক্ষেত্রমনিকে রক্ষা করতে ছুটে যায়। তাকে নিয়ে আসলেও ক্ষেত্রমনি মারা যায়। নবীনমাধব এর উপর আক্রোশ করে। নীলকররা তার বাবা গোলকবসুর নামে মামলা করে দেয়। এভাবে তাদের অত্যাচারের চিত্র গুলো এগিয়ে যায়। চরিত্রের দিকে গোলকবসু তার দুই পুত্র - নবীনমাধব, বিন্দুমাধব। সাধুচরণ, রাইচরণ দুই ভাই। গোপীনাথ দাস -দেওয়ান । আই আই উড, পি পি রোগ নীলকর। এছাড়া আমিন খালাসী, তাইদগীর, ম্যাজিস্ট্রেট, আমলা, মোক্তার অন্যান্য পুরুষ চরিত্র। সাবিত্রী-গোলকবসুর স্ত্রী, সৈরিন্ধ্রী-নবীনের স্ত্রী, সরলতা-বিন্দুমাধবের স্ত্রী, রেবতী-সাধুচরনের স্ত্রী, আদুরী -গোলকবসুর দাসী,ক্ষেত্রমনী-সাধুচরনের মেয়ে। নীল চাষ কে কেন্দ্র করে গোলক বসুর পরিবারের উপর দিয়ে যাওয়া অশুভ ছায়া এই নাটকের কাহিনী। নীলকর দের অত্যাচারের চিত্র গুলো নাট্যকার এদের উপর অঙ্কিত করেছেন।
Nafia Zalal –
বইটা হাত থেকে রেখে বুঝতে পরলাম যে বইএর অর্ধেকই বুঝিনি।এখন আাপাতত আধবোঝা পড়েই রেটিং দিলাম। যেদিন মনে হবে এখন পড়লে বুঝতে পারব সেদিন পড়ে আবার রিভিউ লিখব। আপাতত ৩ স্টারই থাকুক।
Chiro Pipashito T H –
Although the reading was a little tedious, but it is a depiction of the plight of the indigo farmers in Bengal during the British colonial rule. I would certainly recommend this book to those who love classics and history.
Shaimon –
দীনবন্ধু মিত্রের ঐতিহাসিক নাটক "নীল দর্পণ", নাটকটির সাহিত্যিক মান যাই হোক না কেন এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অসাধারণ,যে সময়ে নাটকটি রচিত হয়েছে মূলত সেই সময়ই একে এবং এর নাট্যকারকে বিখ্যাত করেছে,সব মিলিয়ে ভালোই।প্রত্যেকের পড়ে দেখা উচিৎ এই ঐতিহাসিক নাটকটি দীনবন্ধু মিত্রের ঐতিহাসিক নাটক "নীল দর্পণ", নাটকটির সাহিত্যিক মান যাই হোক না কেন এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অসাধারণ,যে সময়ে নাটকটি রচিত হয়েছে মূলত সেই সময়ই একে এবং এর নাট্যকারকে বিখ্যাত করেছে,সব মিলিয়ে ভালোই।প্রত্যেকের পড়ে দেখা উচিৎ এই ঐতিহাসিক নাটকটি
Raunak Ramakrishnan –
It is an old translation of the original Bengali play offering a very interesting perspective from POV of planters of how the ruthless British exploitation for producing indigo deeply affected families, villages and culture itself.
Medul Al-Ayhem –
Masterpiece.... nothing to say....
Fahad Jewel –
প্রাসঙ্গিক কিছু কথাঃ বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হওয়ার শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে।সময়কাল ১৮৬০ ইং।বের হয় 'নীল দর্পণ' নাটক।প্রথমে নাম ছিল "নীল দর্পনং নাটকং'।দীনবন্ধু মিত্রের পরিবর্তে ছদ্মনামে বেরিয়েছিল বইটি। স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক বাংলার সমাজ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে লেখা এ বইটি পরবর্তীতে ১৮৬১ ইং সনে "Nill Durpan,Or the indigo planting miror" নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়,প্রকাশক ছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ। জেনে রাখা ভালো, ১। এটিই প্রথম বাংলা নাটক,যা ইংরেজীতে অনূদিত হয়। ২। কোন বিদেশী প্রকাশক দ্ব প্রাসঙ্গিক কিছু কথাঃ বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হওয়ার শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে।সময়কাল ১৮৬০ ইং।বের হয় 'নীল দর্পণ' নাটক।প্রথমে নাম ছিল "নীল দর্পনং নাটকং'।দীনবন্ধু মিত্রের পরিবর্তে ছদ্মনামে বেরিয়েছিল বইটি। স্বাদেশিকতা, নীল বিদ্রোহ ও সমসাময়িক বাংলার সমাজ ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে লেখা এ বইটি পরবর্তীতে ১৮৬১ ইং সনে "Nill Durpan,Or the indigo planting miror" নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়,প্রকাশক ছিলেন রেভারেন্ড জেমস লঙ। জেনে রাখা ভালো, ১। এটিই প্রথম বাংলা নাটক,যা ইংরেজীতে অনূদিত হয়। ২। কোন বিদেশী প্রকাশক দ্বারা প্রকাশিত কোন বাংলা বইয়ের নামও "নীল দর্পন"। ৩। বিদেশী পত্রিকায় প্রথম কোন বাংলা বইয়ের উপর সমালোচনামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার দাবিদারও এই বইটি। এই বইটির ইংরেজি অনুবাদ ইংল্যান্ডে প্রকাশিত হওয়ার পর এবং দেশ বিদেশে নীলকরদের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন ও সমালোচনা শুরু হলে সরকার শেষ পর্যন্ত নীল কমিশন স্থাপন করতে বাধ্য হয়।যা নীলকরদের দৌরাত্ম্য থেকে দরিদ্র কৃষকদের বাচাতে সহায়ক হয়। কাহিনী সংক্ষেপঃ গ্রামের নাম স্বরপুর।গোলকচন্দ্র বসু এ গ্রামেরই সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত ও গৃহস্থ সম্পন্ন একজন।স্ত্রী সাবিত্রী, দুই পুত্র নবীন মাধব ও বিন্দু মাধব এবং দুই পুত্রবধূ সৈরিন্ধ্রী ও সরলতাকে নিয়ে তার সুখের সংসার।নবীন মাধব উদারচেতা,প্রজাবৎসল ও হৃদয়বান পুরুষ;বাড়িতে থেকেই বিষয়কর্মের দেখাশোনা করেন।তার ছোট ভাই বিন্দুমাধব কলকাতার কলেজে পড়াশোনা করে। এই পরিবারের বাইরেএ আরেকটি পরিবারের কথাও নাটকে উল্লেখ আছে,সাধুচরনের পরিবার।স্ত্রী রেবতী, কন্যা ক্ষেত্রমনি আর ভাই রাইচরনকে নিয়ে তাদের সংসার।এই সংসারগুলোর সুখ স্থায়ী হয়নি বেশিদিন!কেন? "বাড়া ভাতে ছাই তব বাড়া ভাতে ছাই ধরেছে নীলের যমে আর রক্ষা নাই।" ইংল্যান্ডে নীলের চাহিদা বেড়ে গেলে, বহু নীলকর ইংল্যান্ড থেকে এদেশে আগমন করে।তেমনি এক নীলকরের গ্রাসে পরিণত হয় তাদের ফসলী জমিগুলো।কিন্তু সমস্ত ভালো জমিতে নীল বুনলে তাদের সারা বছরের ভাত জুটবে কি করে? নবীন মাধব কিছু জমি ফসলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালে নীলকর সাহেব গোলকবসুর নামে মামলা করে।কারন বাবাকে গ্রেফতার করলেই নবীন মাধব গোল বাধাতে সাহস করবেনা।বিচারের সম্মুখীন করা হয় গোলক বসুকে।কিন্তু বিচারের নামে হয় প্রহসন!শেষ পর্যন্ত লজ্জা আর লাঞ্চনা মাথায় নিয়ে কারাগারেই মৃত্যুবরন করে গোলক বসু। ওদিকে বিবাহিত ক্ষেত্রমনির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে নীলকর সাহেবের।জোর করে কুঠিতে তুলে নেয় তাকে।সতীত্ব নাশের চেষ্টাকালে নবীন মাধব কয়েকজন অনুগত প্রজাকে নিয়ে ক্ষেত্রমনিকে উদ্ধার করে।কিন্তু তারপরও সাহবের লাথির আঘাতে সন্তান সম্ভাব্য ক্ষেত্রমনির অবস্থা ক্রমশই খারাপের দিকে যেতে থাকে। বাবার শ্রাদ্ধের আগ পর্যন্ত পুকুর পাড়ের জমিতে নীল না বোনার জন্য নীলকরের প্রতি অনুরোধ জানায় নবীন মাধব,৫০ টাকা সেলামিও দিতে চায়।কিন্তু প্রতি উত্তরে নীলকর সাহেব মৃত বাবার উদ্দেশ্যে হীন মন্তব্য করলে ক্ষীপ্ত হয়ে নবীন মাধব সাহেবের বুকে পদাঘাত করে।ভাড়াটে লাঠিয়ালরা নবীন মাধবকে ঘিরে ফেললে নীলকর সাহেব লাঠি দিয়ে নবীনের মাথায় আঘাত করলে মাটিতে পড়ে যায় সে। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে ঘটনা,শেষ পর্যন্ত এক ট্রাজিক পরিনতির মাধ্যমে শেষ হয় নাটকের শেষ অঙ্ক। পড়ার আমন্ত্রন রইল। পড়া শেষ হলে, আপনার হয়তো সাদা চামড়ার নাক উচু ইংরেজ নীলকরদের বারবার উচ্চারিত "শালা" আর "বাঞ্চত" শব্দটিকে পায়ের জুতো কিংবা মুখের থুতু বানিয়ে ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছে করবে সহস্রবার।
Sudipto Hambir –
Somnath Sengupta –
Shawon Sarkar –
Shafayat Amin –
Zahid –
Shayaree Meem –
SAGAR DEB –
Roksana Asma –
Khabir –
Labonno Anika –
Swarna –
அவிஜித் ராய் –
Md Firoz –
Anoshmita Adhikary –
Madhurima Ganguly –
Yagnabalka Leo –
Robiswa –
পলাশ –
H.s.khan –
Farhan –
Nahreen –
Sayeda Rebeka –